রোববার থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের অধিকাংশ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানকার দুটি হাসপাতালেও ঢুকেছে পানি।
সোমবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, রোববারের বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের ইস্ট লন্ডনস হুইপস ক্রস ও নিউহ্যাম হাসপাতালে পানি ঢুকেছে। ঝড়ো আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতাল দুটির বিদ্যুৎ সংযোগও।
হাসপাতাল দু’টিতে ভর্তি রোগীদের ইতোমধ্যে অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে হুইপস ক্রস ও নিউহ্যাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গুরুতর অসুস্থ যেসব রোগী অ্যাম্বুলেন্সে করে সেসব হাসপাতালে ভর্তি হতে আসছেন, তাদেরকেও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক টুইটে নিউহ্যাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি হতে আসা রোগীদের উদ্দেশে বলেছে, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ভর্তি থাকা রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ঠিকঠাক হওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নিউহ্যাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।’
টুইটারে প্রায় একই টুইট করেছে ইস্ট লন্ডনস হুইপস ক্রস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
লন্ডনের ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাহায্য চেয়ে ১ হাজারেরও বেশি ফোনকল এসেছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে লন্ডনের ব্ল্যাকওয়েল টানেল, এ ১২, নর্থ সার্কুলারের কিছু অংশসহ বেশিরভাগ এলাকায় সড়কে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব লন্ডনের উডফোর্ড এলাকার একটি রাস্তার বাসিন্দাদের বালতি দিয়ে বাসা থেকে পানি বের করতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির পানিতে আশপাশের লোকজনের বাড়ি ডুবে গেছে বলে জানান লন্ডনের বাসিন্দা মারিয়া পিভা নামের এক নারী। ৪৬ বছর বয়সী মারিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে এলাকার দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিল। সে ফিরে আসার আগেই পুরো রাস্তা ও ফুটপাত পানিতে ডুবে যায়। পানি আমাদের দরজার কাছেও চলে এসেছিল।’
তিনি আরও জানান, কিছুটা উঁচু জায়গায় থাকার কারণে এখনও তার বাড়িতে এখনও পানি ঢোকেনি কিন্তু আশপাশের বেশ কিছু বাড়িতে পানি ঢুকেছে।
পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে এডি ইলিয়ট (২৬) নামের এক তরুণ বিবিসিকে বলেন, ‘আমার লন্ডনে জন্ম হয়েছে এবং এখানেই বড় হয়েছি। আমি জীবনেও এ ধরনের দুর্যোগ দেখিনি।’
সূত্র : বিবিসি
Development by: webnewsdesign.com