ব্রেকিং

x

ইবিতে ব্যাচ ভিত্তিক উৎসবে মারামারি, আহত তিন

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ | ১০:০২ অপরাহ্ণ |

ইবিতে ব্যাচ ভিত্তিক উৎসবে মারামারি, আহত তিন
সংগৃহীত ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদয়ালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচ ভিত্তিক অবতরণিকা উৎসবে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাব্বির শাওন, মুশফিকুর রহমান ও রানা আহমেদ অভি।

এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তারা বলেন, অভিযুক্তরা ৩০/৪০ জন পরিকল্পিতভাবে বাঁশ, কাঠ, রান্না করার খড়ি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানান, মুশফিক উৎসবের টি-শার্ট বিতরণ করছিল। সে সময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের তাসিন ইসলাম রাহিন তাকে না বলেই টি-শার্ট নিলে মুশফিক তাকে বাধা দেয়। এতে রিহান রেগে গেলে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে রাহিন, ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মোবারক হোসেন আশিক, রাব্বী ফকির সহ ২৫/৩০ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন।

এর আগে, সম্প্রতি প্রতিটি বিভাগের সি আর দের নিয়ে আজ ব্যাচ ডে পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কয়েকটি বিভাগের সমস্যা থাকায় তারা ঈদের পরে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে একটি অংশ নিজেদের ইচ্ছা মতো একটি অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে তাদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। পরে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের সমঝোতা করে দেয়। এরপরও একটি অংশ কাউকে না জানিয়ে অবতরণিকা উৎসব আয়োজন করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন।

ভু্ক্তভোগী রানা আহম্মেদ অভি বলেন, সকালে টিশার্ট বিতরণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সমস্যা হয়। যা সিনিযার ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে শান্ত হয়। পরবর্তী স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই সারাদিন উৎসব পালন করে। অনুষ্ঠানের শেষে দিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রেণী প্রতিনিধি রাহিন ও একই বিভাগের রাব্বি ফকির টিশার্ট নিয়ে আবারো সহপাঠী মুশফিক ও সাব্বির শাওনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। প্রায় ৩৫/৪০ জন সহপাঠী মুশফিকুর রহমান ও সাব্বির শাওনকে দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমি মুশফিকুর রহমানকে ঠেকাতে গেলে আমার ওপরও হামলা করেন হামলাকারীরা। আমি সবাইকে চিনিনা। প্রথামিকভাবে যে তিনজনের নাম অভিযোগে উঠে এসেছে রাহিন, রাব্বি ফকির ও মোবারক আশিক এদের শুধু চিনি।

অভিযুক্ত তাসিন ইসলাম রাহিন বলেন, আমাদের ব্যাচমেটদের মধ্যে বেশকিছু বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয় তবে অতর্কিত হামলা বা তাদেরকে উদ্দেশ্যপ্রণিত ভাবে আক্রমণ করা হয়নি।

অভিযুক্ত মোবারক হোসেন আশিক বলেন, মারামারির সময় আমি ফুটবল মাঠে ছিলাম। পরে ঝামেলা হতে দেখে সেখানে এগিয়ে যায়। সেখানে গেঞ্জি বিতরণ নিয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। কেনো আমার নাম জড়ালো আমি নিজেও বুঝতেছিনা।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের কর্তব্যরত ডাক্তার এস এম শাহেদ হাসান বলেন, তিনজনকে মেডিকেলে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় এবং বাকি দু’জনের ঘাড়ে বাটাম দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন, আমি ওই সময়ে ওদেরকে দেখতে মেডিকেলে গিয়েছিলাম। যা যা ব্যবস্থা করা দরকার করেছি। লিখিত অভিযোগের একটা সফট কপি হোয়াটসঅ্যাপে পেয়েছি। এটা প্রক্টরকে ফরওয়ার্ড করেছি তবে এখনো তিনি কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। আমরা পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে এটা জানাবো।

Development by: webnewsdesign.com