ব্রেকিং

x

বিদেশি ঋণপ্রবাহে ভাটা

সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ৫:৫২ অপরাহ্ণ |

বিদেশি ঋণপ্রবাহে ভাটা
সংগৃহীত ছবি

কমে গেছে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড়। গত অক্টোবর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের চার মাসে এটি কমেছে ২৫ শতাংশ। কমেছে প্রতিশ্রুতির পরিমাণও। গত চারে মাসে যে পরিমাণ অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে, তা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৫ শতাংশ কম। অনুদানের প্রতিশ্রুতি কিছুটা বাড়লেও ব্যাপক হারে কমেছে ঋণের প্রতিশ্রুতি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ঠিক কী কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি এবং অর্থছাড় একই সঙ্গে কমে গেল, তার কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। বিদেশি অর্থায়ন থাকা প্রকল্পের বাস্তবায়নে দুর্বলতার কারণেও এটা হতে পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি না থাকলে অর্থছাড়ের সুযোগ নেই। অর্থের স্থানীয় উৎসে টাকার সংকট থাকতে পারে, কিন্তু বিদেশি উৎসের অর্থের কোনো সংকট ছিল না। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীর গতির কারণেই হয়তো অনেক ক্ষেত্রে অর্থ সহায়তা আসেনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা মোট ১৯৭ কোটি ডলার ছাড় করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১৮৮ কোটি ডলার প্রকল্প সহায়তা বা ঋণ। বাকি ৯ কোটি ডলার অনুদান। গত অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি ডলার। অবশ্য ওই সময় অনুদান ছিল কিছুটা কম; সাড়ে সাত কোটি ডলার। সব মিলিয়ে অর্থবছরের চার মাসে শুধু প্রকল্প সহায়তা কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি।

চলতি অর্থবছরের চার মাসে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৪১ কোটি ডলারের মতো। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২৭৬ কোটি ডলার। যদিও এ ক্ষেত্রে অনুদানের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। গত চার মাসে প্রায় ১১ কোটি ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল দুই কোটি ডলারের কিছু বেশি।

এদিকে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কিছুটা কমেছে বাংলাদেশের। চলতি অর্থবছরের চার মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের মূল এবং সুদসহ প্রায় সাড়ে ৭২ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল প্রায় সাড়ে ৫৩ কোটি ডলার এবং সুদ ১৯ কোটি ডলারের মতো। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় ৭৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রায় ৫৫ কোটি ডলার ছিল মূল ঋণ। বাকি ২০ কোটি ডলারের মতো সুদ।

অর্থছাড়ের চিত্র থেকে দেখা যায়, জুলাই-অক্টোবর সময়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার। ইউরোপ থেকে পাওয়া গেছে ১৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এটি ছিল ২১ কোটি ডলার। জাতিসংঘ থেকে পাওয়া গেছে আড়াই কোটি ডলার। আগে যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ডলার।

Development by: webnewsdesign.com