ব্রেকিং

x

আগামী বাজেটে সরকারের বিশেষ নজর থাকছে পুঁজিবাজারে

সোমবার, ২৮ মে ২০১৮ | ১০:০৩ অপরাহ্ণ |

আগামী বাজেটে সরকারের বিশেষ নজর থাকছে পুঁজিবাজারে

আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারে সরকারের বিশেষ নজরে থাকছে । কারণ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতেও সরকার গঠন করার পথে রয়েছে। এ কারণে জনসংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে শেয়ারবাজারও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ করার দাবি করেছে স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বাজেট আলোচনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কর্মকর্তারা এসব প্রস্তাব দেন।

ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত করপোরেট করহার সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়াও আগামী বাজেটে প্রণোদনার মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের লেনদেনের ওপর কর কমানো হচ্ছে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের প্রতি যেন মানুষের আস্থা তৈরি হয় এমন ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী।

জানা যায়, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৭২১ বিও হিসাব আছে। রয়েছে আড়াইশ ব্রোকারেজ হাউস। এ ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি লোক পরোক্ষভাবে জড়িত পুঁজিবাজারে। এ জন্য আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু প্রণোদনা দেবে সরকার।

এদিকে, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছর ধাপে ধাপে কর অব্যাহত দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম বছর শতভাগ কর মুক্ত, দ্বিতীয় বছর ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর ৬০ শতাংশ, চতুর্থ বছর ৪০ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ২০ শতাংশ কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ বছর পার হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবে আরও এক বছর শতভাগ কর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। সেটি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।

এ ছাড়া বর্তমান নিয়মে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের শেয়ার লেনদেনের জন্য শেয়ারমূল্যের ওপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অর্থাৎ কোনো সদস্য এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করলে ৫০ টাকা কর দিতে হয়। ডিএসইর প্রস্তাবে এ সীমা দশমিক শূন্য এক পাঁচ করা হয়েছে। এ প্রস্তাব কার্যকর করা হলে হাউসগুলোকে ১ লাখ টাকা লেনদেনের বিপরীতে ১৫ টাকা কর দিতে হবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর শেয়ার হস্তান্তরের জন্য ১ দশমিক ৫ শতাংশ স্ট্যাম্প শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ স্ট্যাম্প শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
এ ছাড়াও ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী (বিদেশি অংশীদার) হিসেবে ইতোমধ্যে চীনের সাংহাই এবং শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ১১ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২১ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে প্রায় হাজার কোটি টাকা আয় হবে। এ টাকা থেকে প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে কর মওকুফ চেয়েছে ডিএসই। তবে এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবে না সরকার।

এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশিদ লালী বলেন, বাজারে প্রতিদিন দরপতন হচ্ছে। সেই সঙ্গে কমছে লেনদেনও। এজন্য বাজেটে তারল্য সংকট দায়ী। তারল্য সংকট কাটাতে চীনা হাজার কোটি টাকা থেকে ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার করলে সেটি বাজারে বিনিয়োগ হবে। এতে বাজার সাপোর্ট পাবে।

তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে মূল সমস্যা আস্থা সংকট। এ সংকট কাটাতে এমন প্রণোদনা দিতে হবে, যার সুবিধা সরাসরি বিনিয়োগকারীরা পাবেন।

অর্থকাল/এসএ/খান

Development by: webnewsdesign.com